OrdinaryITPostAd

মানব জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব

শিক্ষার প্রাচীন ইতিহাসঃ- ইসলাম বিশ্বের মনোনীত খলিফার অধীনে মধ্যযুগে গণিতশাস্ত্র ও জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ও সমৃদ্ধি হয়েছিল। যাহা সুদূর পূর্ব সিন্ধু হতে পশ্চিম আইবেরিয়ান উপদ্বীপ পর্যন্ত এবং দক্ষিণ আলমোরাভিড রাজবংশ ও মালির শাসন রাজ্য পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল। মধ্যযুগের মিশনারী পন্ডিতরা ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতা থেকে ব্যাপক ধারণা জ্ঞানার্জন করে চীন ও ইউরোপের মধ্যে সংস্কৃতি,জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। চীনা পন্ডিতদের জন্য ইউক্লিডের elements অনুবাদ এবং ইউরোপীয় শ্রোতাদের জন্য কনফুসিয়াসের চিন্তা-চেতনা,ধ্যান-জ্ঞানের বিষয়-বস্তুগুলি ব্যাপক প্রচার ছিল। শিক্ষার শৈলীঃ- মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পদ্ধতিগত ভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে। তাহা নিম্নরূপঃ- # নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষাঃ নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা একটি কাঠামোগত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশন করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে শিক্ষা গ্রহন ও আগ্রহী হয়ে ওঠে। সাধারণভাবে একটি শ্রেণী কক্ষে একাধিক শিক্ষার্থীদের জন্য একজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও ভিন্ন ভিন্ন Subjects এর জন্য একাধিক Skillful শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূল। ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে different criteria,শিক্ষা ব্যবস্হার জন্য নকশা প্রনয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়াও স্টুডেন্টস ও টিচারের মধ্যে interacting মূল্যায়ন পদ্ধতি,শ্রেণী কক্ষের আকার,sufficiently গ্রন্থগার,debating practice room,শিক্ষাঙ্গনে বাগান,প্রশস্ত খেলার মাঠ প্রভৃতি নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। # প্রাথমিক শিক্ষাঃ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে,তবে ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাধ্যকতা কিছুটা ডিফারেন্ট,৫ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য এই শিক্ষা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত। অধিকন্ত,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করে থাকে। ইউনেস্কো থেকে সরাসরি declaration সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা। সারা বিশ্বের ৮০% রাষ্ট্রগুলি ইউনেস্কোর এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। # মাধ্যমিক শিক্ষাঃ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মধ্যে সঠিক সময়সীমা ও দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে। তবে সাধারণভাবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। মাধ্যমিক শিক্ষা স্বাভাবিকভাবে কিশোর বয়সের গণ্ডির মধ্যেই টার্মিনেশন করা হয়। ষোড়শ শতকের প্রারম্ভিকে সমগ্র ইউরোপে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ব্যাকরণ স্কুল,বিনা বেতনে পড়ার জন্য দাতব্য শিক্ষা ফাউন্ডেশন গুলো ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সাধারণ জ্ঞান অর্জন,ভোকেশনাল,টেকনিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজেকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করে থাকে। উচ্চতর শিক্ষাঃ- তৃতীয় পর্যায়ের ধাপটি মূলত উচ্চতর শিক্ষা(the tertiary stage is essentionally higher education) জাতীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই উচ্চতর শিক্ষা প্রদান করে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীনে ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ করে সনদপত্র পেয়ে থাকে। এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মহোদয় উচ্চতর াুউঅ জ্ঞান প্রদান, বৃত্তিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষা দান করা। উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যার ৪৫% একটি বিষয়ের উপর উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে যাহা জাতীয় অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পরবর্তীতে এই সকল উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। বৃত্তিমূলক শিক্ষাঃ পেশাগত শিক্ষা একটি বৃত্তিমূলক শিক্ষা যাহা, সরাসরি বাস্তব প্রশিক্ষণের উপর নির্মিত একটি প্লাটফর্ম। যেমন: কৃষি,প্রকৌশল,ঔষধ, স্থাপত্য,ম্যানুফ্যাকচারিং,ফুড- বেভারেজ এর অন্তর্ভুক্ত। ভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাঃ ভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল। যাহা, এগুলোর নামকরণ করা হয়েছিল;বিকল্প বিদ্যালয়, স্বশিক্ষণ,গৃহে শিক্ষাদান ও বিদ্যালয়ের বাহিরে শিক্ষাদান, নিম্নরূপঃ- # আদিবাসীর শিক্ষাঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উপনিবেশের অধীনস্থকালীন ঐ সমস্ত দেশের আদিবাসীদের শিক্ষা পদ্ধতি-স্বীকৃতির মাধ্যমে আদিবাসীদের জ্ঞান চর্চার প্রসার ঘটে এবং পরবর্তীতে আদিবাসী সম্প্রদায় গুলো তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যবহার ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে। # উন্মুক্ত শিক্ষা ও ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিঃ ওপেন ইউনিভার্সিটি এর অধীনস্তে শিক্ষার কার্যক্রমটি মূলত উন্মুক্ত শিক্ষক ব্যবস্থা নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে,যদিও এটি ক্যাম্পাস ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো নয় কিন্তু,উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড কিংডমের মত সনদ প্রদান করে থাকে। উন্মুক্ত শিক্ষক পরিবার তাদের নিজস্ব গঠন কাঠামো অনুযায়ী সনদপত্র প্রদান করে থাকে। তাই নতুন ধরনের এই একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো ঐতিহগত ডিগ্রির মত সম্মান সমান "একাডেমিক মূল্য" অর্জন করেছে। ২০১২ইং সাল থেকে E-learning (ইলেকট্রনিক লার্নিং) শিক্ষা ব্যবস্থা সমগ্রবিশ্বে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ভর্তি হয়ে ই লার্নিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস কোর্স সম্পূর্ণ করে শিক্ষা সনদপত্র অর্জন করা যাচ্ছে। উন্নয়নের লক্ষ্যঃ ওভারসিজ ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা লক্ষ্য করছে যে,১৯০৯ইং সাল থেকে upper development country গুলোতে শিশুদের স্কুলে অংশগ্রহণে আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিকন্তু,ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এডুকেশনাল দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, শিক্ষাগত পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী শিক্ষার কার্যক্রমের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব তাহা নিম্নরূপঃ-- # আন্তর্জাতিকভাবেঃ বর্তমান সমগ্রবিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষা সর্বজনীন পর্যায়ে রয়েছে। সমগ্র ইউরোপে সক্রেটিস-ইরাসমাস প্রগ্রামটি বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজ কারণ করা হয়েছে। আবার সরস ফাউন্ডেশনের অধীনে এশিয়া ও ইউরোপের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচালনায় The global campus online তাদের database ও file গুলোতে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে দেয়। # উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষা ও প্রযুক্তিঃ OLPC নমক দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি এম আই টি মিডিয়া ল্যাবের একটি গ্রুপ,এই গ্রুপটি বড় বড় কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত। এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ ইং সাল থেকে আফ্রিকা মহাদেশে ই-স্কুল প্রোগ্রাম চালু করেছে, এদের প্রধান লক্ষ্য হল আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০০০০০ প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়কে যাবতীয় কম্পিউটার সরঞ্জাম ও ইন্টারনেট এক্সেস সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। শিক্ষার তত্ত্বতান্ত্রিকঃ শিক্ষাগত পদ্ধতি,শিক্ষামূলক কার্যকারিতা, শিক্ষার মনোবিজ্ঞান, সামাজিক মনোবিজ্ঞান এসবই শিক্ষার তত্ব তান্ত্রিকের অন্তর্ভুক্ত যাহা নিম্নরূপঃ- # শিক্ষা,মন ও মস্তিস্কঃ স্নায়ুবিজ্ঞান ও জৈবিক প্রক্রিয়া যাহা শিক্ষার মধ্যে মিথস্ক্রিয়া হয়ে শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান,শিক্ষাগত প্রযুক্তি,শিক্ষাতত্ত্ব এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিকে একত্রিত করে। স্নায়ুবিজ্ঞানের গবেষকরা সংখ্যা সূচক চেতনা,মনোযোগ এবং ডিসলেক্সিয়া প্রভৃতি অনুসন্ধান করে যাহা শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। # শিক্ষার দর্শনতান্ত্রিকঃ শিক্ষার প্রক্রিয়া দর্শন, শৃঙ্খলা, লক্ষ্য,গঠন, পদ্ধতি শিক্ষিত হওয়া, শিক্ষার ধরনা, শিক্ষার মানদন্ড এবং অনুশীলনের মাধ্যমে দর্শনতান্ত্রিক অর্জন করা এর সবই শিক্ষার দর্শনতান্ত্রিকের অন্তর্ভুক্ত। শেষকথাঃ বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ তাদের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য শিক্ষার নকশা-কাঠামোকে all modern amenities এর সঙ্গে রিলেশন তৈরি করেছে। শিক্ষা সম্পর্কিত অবকাঠামোগুলোকে যত বেশি আধুনিকরণ ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে,সেই সমস্ত দেশে reservoir of talent সমৃদ্ধ হবে এবং সেই সাথে ওই সমস্ত দেশের মূল চালিকাশক্তি অর্থনৈতিক অবকাঠামোগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হবে। একটি দেশের যাবতীয় অবকাঠামোকে দ্রুত আমূল পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা তখনই সম্ভব যখন শিক্ষা ও মেধাকে combination করে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url